ধামরাই উপজেলা
Dhamrai Map 

ধামরাই

১টি পৌরসভা এবং ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে ধামরাই উপজেলা গঠিত।

পৌরসভা - ধামরাই।
ইউনিয়ন - আমতা, কুশুরা, গাংগুটিয়া, সূতিপাড়া, ভাড়ারিয়া, ধামরাই, বালিয়া, নান্নার, কুল্লা, যাদবপুর, সূয়াপুর, সানোড়া, চৌহাট, বাইশাকান্দা, সোমভাগ এবং রোয়াইল।
উপজেলা সদর ধামরাই পৌরসভায় অবস্থিত। ধামরাই পৌর কার্য্যালয় পৌর এলাকার উত্তরপাতায় অবস্থিত। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয় রয়েছে।

আয়তন ৩০৬.৩৩ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা ৪,১২,৪১৮ জন
পৌরসভা ০১ টি
ইউনিয়ন ১৬ টি
মৌজা ৩০৫ টি
গ্রাম ৪০৮ টি


ধামরাই ইতিহাস । What is the history of Dhamrai?

ধামরাই একটি ঐতিহাসিক উপজেলা, যার ইতিহাস প্রাচীন সময়ে পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। ধামরাই এলাকার ইতিহাস উল্লেখযোগ্যভাবে সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নলিখিত মুখ্যতত্ত্বে বিবর্ণ করা যায়:

প্রাচীন কালে: ধামরাই এলাকায় প্রাচীন কালে অবস্থান করেছে বলে মনে করা হয়। ঐতিহাসিক অবস্থানের অনুসারে, প্রাচীন সময়ে ধামরাই এলাকাটি মগধ সাম্রাজ্যের অংশ হতে পারে। এছাড়াও ধামরাইতে বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির, স্তূপ ও প্রাচীন মুর্তিগুলির উল্লেখ পাওয়া যায়। এই প্রাচীন ঐতিহাসিক উল্লেখগুলো ধামরাইকে একটি মহত্ত্বপূর্ণ বৌদ্ধ পীঠ হিসাবে প্রদর্শিত করে তুলেছে।

মুঘল কাল: ধামরাই এলাকা মুঘল সাম্রাজ্যের আওতাধীন হয়েছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনামলে ধামরাইকে একটি উপনগর বা উপমহল্লা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ে ধামরাইতে মুঘল শাসকরাই বিশেষ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন বলে ধারণা করা হয়। মুঘল শাসকরার সময়ে মন্দির, প্রাচীন স্তূপ, মসজিদ ও অন্যান্য ঐতিহাসিক স্মারকগুলি ধামরাইতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও মুঘল শাসকগণ ধামরাইকে মানুষজাতির আবাসস্থল হিসাবে ব্যবহার করেন।

ব্রিটিশ শাসনামলে: ১৮শ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনামলে ধামরাইকে সদর পৌরসভা হিসাবে গণ্য করা হয়। ধামরাই এলাকাটি ব্রিটিশ শাসনামলে নগর পৌরসভা হিসাবে উন্নতি পায় এবং অবস্থান পায় ঢাকা জেলার একটি উপজেলা হিসাবে। এই সময়ে ধামরাই এলাকায় বৃহত্তর পরিবর্তন ঘটে এবং ব্রিটিশ শাসকরাই নগরকে অর্থনৈতিক ও শিক্ষানীতিগত উন্নয়নের দিকে প্রচুর সমর্থন করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে, ধামরাই এলাকা স্বাধীন বাংলাদেশের একটি উপজেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপরও ধামরাই উপজেলার পরিবর্তন ঘটে এবং ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে ধামরাই সদর উপজেলা হিসেবে গণ্য হয়েছে।

এইভাবেই ধামরাই এলাকার ঐতিহাসিক পথচারী এবং নির্মিত ঐতিহাসিক স্মৃতিগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা সৃষ্টি করেছে। এখানে প্রাচীনকালের স্মৃতিগুলো বহুতগুলো ঐতিহাসিক প্রাসাদ, মন্দির, মসজিদ ও অন্যান্য ঐতিহাসিক স্মারক রয়েছে। বিভিন্ন শাসকাদের অবদান, সাংস্কৃতিক প্রভাব ও সমাজসেবা প্রণালীর বিকাশে ধামরাই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাখে।

ধামরাই সংক্ষিপ্ত পরিচতি

ধামরাই বাংলাদেশের একটি উপজেলা এবং নগরপালিকা। এটি ঢাকা জেলার একটি অঞ্চলে অবস্থিত। ধামরাই উপজেলাটি ঢাকা শহরের উত্তরপূর্বে অবস্থিত এবং ঢাকা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা এর একটি উপজেলা হিসাবে পরিচিত।

এটি পুরোপুরি উপবিভাগীয় শহর নয়, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সেন্টার। ধামরাই প্রধানতঃ একটি গ্রাম্য অঞ্চল, যেখানে বাগান, খাদ্য ও মাটি সম্পন্ন স্বাধীন গ্রামের জীবন প্রচলিত। এছাড়াও এখানে অনেক গ্রাম্য কারখানা, চাষাবাদ, প্রাকৃতিক আবহাওয়া ও আধুনিক উদ্যোগ রয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট : http://dhamrai.dhaka.gov.bd/



ধামরাই নামকরণ

ধামরাই নামকরণটি একটি পৌরসভা বা উপজেলা গ্রামবাসীদের সংস্কৃতিক, সামাজিক এবং আইন-শাস্ত্রিক সম্প্রদায়ের অনুযায়ী স্থাপিত হয়। পূর্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম রাজিয়া অর্থ ধর্মরথ। এই ধর্ম রাজিয়া হতে ধর্মরাজি বা ধর্মপুর হতে ধামরাই নামের উৎপত্তি হয়েছে। 


ধামরাই অবস্থান ও আয়তন

ধামরাই বাংলাদেশের ঢাকা জেলার একটি উপজেলা হিসাবে অবস্থিত। এর অবস্থান হলো ঢাকা জেলার উত্তরাঞ্চলে। ধামরাই শহরটি ধামরাই উপজেলার উত্তর পুরাতন পথ বা ঢাকা-আরিচা রোডের পাশে অবস্থিত।

আয়তনে প্রায় ১১১ বর্গকিলোমিটারের সর্বাধিক আয়তনবিশিষ্ট উপজেলাগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে ধামরাই উপজেলাটির পূর্বে সদর পৌরসভা হিসাবে গণ্য ছিল, কিন্তু ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে উপজেলা হিসাবে পুনঃনির্ধারিত করা হয়।

ধামরাই একটি জলবায়ুতাত্ত্বিকভাবে সমৃদ্ধ উপজেলা। এখানে মাঝারি ও প্রায় সামান্য সর্দিক ও উষ্ণমধ্য জলবায়ু পাওয়া যায়। ধামরাই উপজেলার দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ধামরাই জলপাইয়া হিলস অবস্থিত, যা একটি পর্বতমালার অংশ। এখানে ধামরাই উপজেলাটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটনের উপায়ের সুযোগ রয়েছে।


ধামরাই দর্শনীয় স্থান

মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র: ধামরাই উপজেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাশক্তি প্রেরণ কেন্দ্র হলো রোপান্তরণ স্টেশন এবং উত্পাদন কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো কল্যাণী শক্তিতে পারমাণবিক বা অণুবিদ্যুত্পন্ন শক্তির প্রেরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ধামরাই উপজেলায় বাংলাদেশের প্রাথমিক পারমাণবিক বা অণুবিদ্যুত্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অবস্থিত, যেখানে পারমাণবিক প্রক্রিয়ায় পানি থেকে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন করা হয়।

আলাদিন পার্ক : আলাদিন পার্ক ধামরাই একটি প্রকৃতি উদ্যান যা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি আধুনিক পার্ক যা আপনাকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সহায়তা করে। পার্কে আপনি বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক উপাদান এবং জীবজন্তুদের দেখতে পারবেন।
 আলাদিন পার্কে আপনি বিভিন্ন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, যেমন পানিতে পথচারী মাছের ঝাঁক, ফুলের বাগান, ছাই গাছ এবং আকর্ষণীয় ফস্কিয়া বাগান। পার্কে আরও অনেকগুলি পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া এবং শপগুলির মধ্যে ভাড়া করা হয়ে থাকে, যা আপনাকে সুবিধা ও বিনোদনের জন্য উপযুক্ত আবদ্ধ করে।

আপনি আলাদিন পার্কে সাধারণত বিদেশি এবং দেশি পর্যটকদের পাওয়া যায় যারা শহরের শোরুম থেকে অলিখিত এলাকা থেকে সাক্ষাৎকার ক
 রতে চান। এটি শহরের কাছাকাছি অবস্থিত একটি আশ্রয়স্থল, যেখানে আপনি শান্তি এবং প্রকৃতির সাথে মিশে থাকতে পারেন।
 আপনি আলাদিন পার্কে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠান, যেমন ন্যাচার ও বায়ুমণ্ডল শিক্ষা, প্রকৃতির অভিযান, ক্যাম্পিং এবং পিকনিক সার্ভিস এবং গাইডেড ট্রেকিং সহ অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।

যশোমাধব মন্দির (Yashomadhab Temple) : যশোমাধব মন্দির ধামরাই একটি ধার্মিক স্থান যা বাংলাদেশের ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত। এটি হিন্দু মন্দির যা যশোমাধব দেবতার জন্য পরিচিত।

যশোমাধব মন্দির একটি ঐতিহাসিক মন্দির যা বাংলাদেশের মধ্যে অনেকটি প্রাচীনতম মন্দিরের একটি। এটি যশোমাধব দেবতার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বহুল পবিত্র মন্দির হিসাবে বিশ্বব্যাপীতেও পরিচিত।

মন্দিরটির স্থাপত্য শৈলী বিচিত্রতা এবং সুন্দর কার্যকলাপে নেপথ্য করে। মন্দিরে আছে একটি পবিত্র পূজা ঘর যেখানে যশোমাধব দেবতার প্রতিমা অবস্থিত। বার্ষিক পূজা উৎসবে মন্দিরটি সকল দেবী-দেবতার ভক্তদের আকর্ষণ উদ্ধার করে।

ষাইট্টা বটগাছ (Shaitta Banyan Tree) : ষাইট্টা বটগাছ ধামরাই বিভিন্ন সাধারণ বাগান থেকে আলাদা এবং আপনাকে প্রাকৃতিক পরিবেশে মনোযোগ কেন্দ্রিক করে রাখার জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা যেখানে আপনি বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিষয়বস্তু, বাগানের সুন্দর বিন্যাস এবং সমৃদ্ধ উদ্ভিদ উপভোগ করতে পারেন। এখানে পাওয়া যায় প্রাচীন বটগাছ, ছায়াদার গাছ, ফুলগুলো এবং অন্যান্য উদ্ভিদের ভিত্তিতে ভালোবাসা এবং অবদান করা সুন্দর বিন্যাসসহ অনেক উদাহরণ দেখা যায়।

রথ যাত্রা:  ধামরাই রথ একটি ধার্মিক উৎসবের অংশ যা বাংলাদেশের ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ও প্রাচীন বিষয়বস্তুগুলির প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি বড় রথ যা মুখ্যতঃ হিন্দু উৎসবে ব্যবহৃত হয়, যেমন রাথযাত্রা।

ধামরাই রথ রাথযাত্রা উৎসবে ব্যবহৃত হয়, যা প্রাচীনকাল থেকেই চলছে। এই উৎসবে ধামরাই এলাকার মন্দির থেকে মন্দিরে হিন্দু দেবতাদের মূর্তি অথবা প্রতিমা রাথে রাখে এবং তাদের অবতরণ করে সম্মান করা হয়। ধামরাই রথ অত্র উৎসবে সারাবছর একবার চলে যায় এবং এই রাথযাত্রা মেঘনা বাড়ি এবং অন্যান্য প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে ঘটে থাকে। এই উৎসবে স্থানীয় বাসীরা একত্রে সংগঠিত হয় এবং ধামরাই রথটি পুশপ এবং পালকির মাধ্যমে সমর্পণ করেন।


ধামরাই কিসের জন্য বিখ্যাত । What is Dhamrai famous for?

ধামরাই বাংলাদেশের একটি উপজেলা এবং জেলা সদর শহরের নামকরণের উপর ভিত্তি করে একটি প্রাসাদময় স্থান। এটি হতে পারে নিখুঁত উল্লেখ পায় কারণ এটি বিখ্যাত হয়েছে তার ধার্মিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য।

ধামরাই বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রাচীন পূজাস্থানগুলির একটি। এখানে অবস্থিত ধামরাই মন্দিরে যশোমাধব দেবতার প্রতিমা অবস্থিত, যা প্রাচীনকাল থেকেই ধার্মিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের সাথে সংযুক্ত। এছাড়াও, ধামরাই এলাকায় আরও কয়েকটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির এবং শিবলিঙ্গ অবস্থিত, যা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

এছাড়াও, ধামরাই বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও পরিচিত। এখানে আছে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও বনসমূহ

ধামরাই বাংলাদেশের একটি উপজেলা ও শহরের নামকরণের জন্য বিখ্যাত হয়েছে তার ঐতিহাসিক ও ধার্মিক গুরুত্বের জন্য যশোমাধব দেবতার মন্দির খুবই পরিচিত। এছাড়াও, ধামরাই এলাকায় আরও কয়েকটি হিন্দু মন্দির এবং শিবলিঙ্গ অবস্থিত।

ধামরাই বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বিখ্যাত। এখানে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও বনসমূহ, যেগুলো পর্যটন উদ্যোগে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ধামরাই এলাকায় পানির নদীগুলো, ভ্রমণ পথ, একটি বটানিক্যাল গার্ডেন, উদ্ভিদের সংরক্ষণাগার ও প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরও বাড়ানোর জন্য প্ররিচর্যা করা হয়ে থাকে।

ধামরাই আরও প্রাকৃতিক আকর্ষণের জন্য পরিচিত, যেমন ধামরাই হাইড্রোপার্ক, যাত্রাবাড়ী, উদ্যানগুলো, জলপথ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক স্থানের সৌন্দর্য।

এছাড়াও, ধামরাই বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক এলাকার একটি হিসাবে পরিচিত। এখানে আন্তর্জাতিক মেলা, উৎসব এবং ধার্মিক উৎসব সহ প্রায়ই অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, ধামরাই উপজেলার স্থানীয় কলকাতা নৃত্য ও সংগীত সম্প্রদায়ের একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবেও পরিচিত।

ধামরাই একটি ঐতিহাসিক, ধার্মিক, এবং প্রাকৃতিকভূমি যা বাংলাদেশে পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ একটি গন্তব্য।


ধামরাই প্রশাসনিক এলাকা

ধামরাই প্রশাসনিকভাবে বাংলাদেশের একটি উপজেলা হিসাবে গণ্য হয়। ধামরাই উপজেলাটি ঢাকা জেলার একটি অংশ হিসাবে অবস্থিত। উপজেলা নির্বাহী পরিষদ এবং সদর পৌরসভা ধামরাই উপজেলার প্রশাসনিক দলের অংশ।

ধামরাই সদর পৌরসভার নিয়ামক কার্যকর হয় এবং এলাকার প্রশাসনিক ও পাবলিক সেবা সরবরাহ করেন। ধামরাই উপজেলা সদর পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত গ্রাম এলাকা, সিটি এলাকা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক এলাকার নির্দিষ্ট অংশগুলোকে শাসিত করে।

ধামরাই প্রশাসনিক এলাকায় সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন উপজেলা নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংস্থা, পুলিশ স্টেশন, জেলা নির্বাহী পরিষদ, ব্যাংক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠিত থাকে। এছাড়াও উপজেলার নাগরিকদের জন্য পাবলিক সেবা প্রদান করার জন্য অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, যানবাহন, বাজার, বন্ধর ও পার্ক ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।

সরকারের নিকটবর্তী কার্যালয়গুলো ধামরাই উপজেলা এলাকায় স্থাপিত থাকে এবং এলাকার নাগরিকদের প্রশাসনিক ও ন্যায়িক সেবা প্রদান করে। ধামরাই উপজেলার প্রশাসনিক এলাকা নির্ধারিত ন্যায়িক এলাকাগুলোতে উপমহাদেশ ন্যায়াধীশ কার্যক্রম সম্পাদন করে এবং ন্যায় প্রদানের জন্য আদালতগুলো উপস্থাপন করে।

উপজেলা নিজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংস্থাগুলো সরকারী সেবা প্রদান, কর্মসংস্থান, নাগরিক সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করে।


এতদ্বারা বুঝানো যায় যে, ধামরাই উপজেলা প্রশাসনিকভাবে বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা যা নিজস্ব উপজেলা পরিষদ ও সদর পৌরসভা দ্বারা প্রশাসিত হয় এবং নাগরিকদের প্রশাসনিক ও সেবামূলক প্রয়োজনগুলো পূরণ করে।

ধামরাই ইউনিয়ন পরিষদ 

ধামরাই ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনগণের মধ্যে কার্যক্রম চালিত হয় এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধান, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প পরিচালনা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পানিপাথ ও সারসংক্ষেপ সেবা, গ্রামীণ বিকাশ প্রকল্প ইত্যাদি সম্পাদনে সক্ষম হয়।

ধামরাই ইউনিয়ন পরিষদ বাসিন্দা সংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাপনে সহায়তা করে এবং পর্যামরাই ইউনিয়ন পরিষদ অন্যসহ গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা বিষয়ক প্রকল্প, সারসংক্ষেপ সেবা, গ্রামীণ প্রশাসনিক কাজকর্ম, সমাজসেবা, কৃষি উন্নয়ন, জলপ্রপাত নির্মাণ ও পরিচালনা হয়।

ধামরাই ইউনিয়ন পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় প্রশাসনিক একক যা ধামরাই উপজেলার সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য কাজ করে। এটি পরিচালিত হয় স্থানীয় নির্বাচিত নেতৃদল এবং সদস্যগণ দ্বারা যারা নির্বাচিত হয় এবং নিয়মিতভাবে সভাপতি সভাপতি সংখ্যা পরিষদের সভায় সংগঠিত হয়। ধামরাই ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত একটি স্থানীয় প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে কাজ করে এবং এটি স্থানীয় সরকারী কার্যক্রম চালায় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উন্নয়ন ও সুবিধা প্রদানের জন্য কাজ করে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনগণের মধ্যে কার্যক্রম চালিত হয়

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট : https://dhamraiup.com


ধামরাই উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ধামরাই উপজেলায় কিছু উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধামরাই উপজেলায় উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিম্নে উল্লেখ করা হলো;

১. ধামরাই ডিগ্রী কলেজ: ধামরাই ডিগ্রী কলেজ ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম সরবরাহ করে যা আবাসিক ও অনাবাসিক কোর্সগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

২. ধামরাই উচ্চ বিদ্যালয়: ধামরাই উচ্চ বিদ্যালয় একটি প্রখ্যাত প্রায় উপজেলার মুখ্য বিদ্যালয়। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সরবরাহ করে। ছাত্রদেরকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে পড়াশোনা এবং সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দেয়।

৩. ধামরাই কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়: ধামরাই কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষা সরবরাহ করে। এটি পেশাগত শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ও প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে যাতে ছাত্রদের কারিয়ার এবং পেশাগত দক্ষতা উন্নত করা যায়।

৪. ধামরাই সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: ধামরাই উপজেলার একটি প্রখ্যাত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি ছাত্রদেরকে মাধ্যমিক শিক্ষা দেয় এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা ও সৃজনশীলতা বিকাশ করে।

৫. ধামরাই মডেল হাই স্কুল: ধামরাই মডেল হাই স্কুল উচ্চ গুণমানের শিক্ষা প্রদান করে এবং ছাত্রদেরকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নতি করার সুযোগ দেয়।


. ধামরাই পিলট মডেল হাই স্কুল: ধামরাই উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রয়াত ও প্রস্তুত মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি শ্রেষ্ঠতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত এবং সবার কাছে প্রাকৃতিক জ্ঞান সংগ্রহ ও সুষ্ঠু শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে।

৭. ধামরাই উপজেলা প্রাইমারি স্কুল: ধামরাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি খোদার দিকে সুষ্ঠু শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে। এই প্রাইমারি স্কুলটি ছোটদের শিক্ষার শুরুতে প্রথম ধাপ। এটি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়।

৮. ধামরাই উপজেলা মহিলা ও শিশু কলেজ: ধামরাই উপজেলায় মহিলা ও শিশুদের শিক্ষার জন্য এই কলেজটি গড়ে তোলা হয়েছে। এটি মেধাক্রমে মহিলা ও শিশুদের একটি উত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে চিহ্নিত।

এছাড়াও ধামরাই উপজেলায় আরও অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোও ধামরাই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিষ্ঠানগুলো উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষার মান এবং স্বপ্ন সাধারণ করে এবং উচ্চতর শিক্ষার পথে তাদের নির্ধারণ করে।


আমাদের শেষ কথা

বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী, খাদ্য উদ্যান, বৃহত্তর লিচু বাগান, জলপ্রপাত, পানির উদ্ভিদ সমৃদ্ধ নালা ও গাছ বাগান সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানসমূহ রয়েছে ধামরাইয়ে। আপনি চাইলে ঘুরে যেতে পারেন আমাদের ধামরাই থেকে। ধন্যবাদ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন